জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো – How to create Gmail Account

জনপ্রিয় টেক জায়েন্ট প্রতিষ্ঠান গুগলের যোগাযোগ এর মাধ্যম জিমেইল। মেটা দ্বারা পরিচালিত ফেসবুক, হোয়াটসএপ, ইন্সটাগ্রাম এর আগে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো জিমেইল আইডি।

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে আপনারা জিমেইল আইডি খুলবেন। সাথে বোনাস হিসাবে থাকছে বাচ্চাদের জিমেইল আইডি খোলার নিয়ম। কথা না বাডিয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

জিমেইল আইডি কি? (What is Gmail?)

জিমেইল একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে খুব সহজেই বার্তা আদান প্রদান করা যায়। বন্ধু বান্ধবের সাথে জিমেইলের ব্যবহার না থাকলে চাকরি বা অফিশিয়াল কাজে এখনো জিমেইলের ব্যবহার সর্বাধিক।

জিমেইল আইডির ব্যবহার (Use of Gmail)

দৈনন্দিন অনেক কাজেই জিমেইল আইডির ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • চাকরির সিভি আদান প্রদান
  • বিদেশী ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ
  • গুগলের সকল প্রডাক্ট(গুগল ড্রাইভ, গুগল ডক, গুগল ইমেজ, গুগল শীট, গুগল মিট ইত্যাদি) ব্যবহার
  • বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা একাউন্ট তৈরিতে
  • মার্কেটিং করতে
  • প্রমোশনাল অফার বুস্ট করতে

জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো (How to create Gmail Account)

জিমেইল আইডি খোলা খুব সহজ। জিমেইল আইডি খুলতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

প্রথমে গুগলে Gmail account লিখে সার্চ করবেন, এবং সবার প্রথমে থাকা Create your Google Account লিংক এ ক্লিক করবেন।

এবার আপনার ফাস্ট নেম, লাস্ট নেম, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড দিয়ে নেক্সট এ ক্লিক করবেন।

এখন ভেরিফাই এর জন্য আপনার ফোন নম্বর দিবেন এবং ফোনে আসা ছয় ডিজিটের কোড (উদাহরণঃ G-123456) দিয়ে ভেরিফাই এ ক্লিক করবেন।

নম্বর ভেরিফাই হয়ে গেলে রিকোভারি মেইল, জন্ম তারিখ, মাস, বছর এবং জেন্ডার সেলেক্ট করে নেক্সট এ ক্লিক করবেন। কিছু কথা পার্সোনাল জিমেইল একাউন্ট খুলতে অবশ্যই বয়স ১৪ বছর হতে হবে। নেক্সট এ ক্লিক করার পর এগ্রিমেন্ট এ টিক মার্ক দিয়ে ডান এ ক্লিক করলেই জিমেইল আইডি খুলে যাবে।

এভাবে আপনারা খুব সজজেই পার্সোনাল বা বিজনেস জিমেইল একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বাচ্চাদের জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো? (How to create child Gmail Account)

বাচ্চাদের জিমেইল আইডি খোলার জন্য উপরিউক্ত পদ্ধতি সেম। তবে এর পাশাপাশি কিছু কাজ করতে হবে। বাচ্চাদের জিমেইল আইডি খুলতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

উপরিউক্ত পদ্ধতিতে নম্বর ভেরিফাই করার পর রিকোভারি মেইল, ডেট অফ বার্থ ও জেন্ডার দিয়ে নেক্সট এ ক্লিক করবেন। (বাচ্চর বয়স অবশ্যই ১৪ বছরের কম হতে হবে, তা না হলে পার্সোনাল জিমেইল আইডি তৈরি হয়ে যাবে।)

এবার প্যারেন্ট মেইল এড্রেস দিয়ে নেক্সট এ ক্লিক করবেন। এবং প্যারেন্ট মেইলের পাসওয়ার্স চাইলে পাসওয়ার্ড ও দিয়ে দিবেন।

এবার এগ্রিমেন্ট এ টিক মার্ক দিয়ে এগ্রিতে ক্লিক করবেন। এগ্রিতে ক্লিক করার পর প্যারেন্ট মেইলের সাথে ভেরিফাই নিবে। ভেরিফাইটি আপনারা ব্লুটুথ কানেকশন, ভেরিফিকেশ কোড বা ডিভাইস ভেরিফাই এর মাধ্যমে করতে পারবেন। ভেরিফাই করলেই চাইল্ড জিমেইল আইডি তৈরি হয়ে যাবে।

চাইল্ড জিমেইল আইডির ব্যবহার কি?

চাইল্ড জিমেইল আইডির বেশ কিছু ব্যবহার রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, করোনার মধ্যে অনলাইন ক্লাস করতে গুগল মিট এর ব্যবহার। বাচ্চা অবস্থা থেকেই নিজের কাজ বা তথ্য গুছিয়ে রাখা। এছাড়াও এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হলো চাইল্ড জিমেইল আইডিতে প্যারেন্টরা ওই জিমেইল কে মনিটর করতে পারবে। এতে বাচ্চারা কোন ভুল বা খারাপ কাজ করলে তা সহজেই বুঝা যাবে। তবে আমি চাইল্ড জিমেইল আইডি ব্যবহার করি আমার গার্লফ্রেন্ড কে মনিটর করার জন্য।

আশাকরি আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে সোসাল মিডিয়া বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Share This:

Leave a Reply:

Scroll to Top