এর আগে অনলাইন থেকে আয় করা বিষয়ক পোস্টে আমরা ডিজিটাল অ্যাসেট বাই-সেল সম্পর্কে কিছুটা জেনেছিলাম! তো, ডোমেইন ও ওয়েবসাইট হলো খুবই মূল্যবান ডিজিটাল অ্যাসেট। ডোমেইন রিসার্চ করে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে অন্য কাউকে রিসেল করা, কোনো একটা ওয়েবসাইট ভালোমতো দাঁড় করিয়ে সেটা সেল করা; এসবকে বলা হয় ফ্লিপ্পিং। তো আজকের পোস্টে আমরা জানব- ডোমেইন ও ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং করে কীভাবে আয় করা যায়? চলুন তাহলে শুর করা যাক।
ডিজিটাল অ্যাসেট ফ্লিপ্পিং করে আয় করা নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিয়োটি দেখতে পারেন:
ডোমেইন ও ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং করে আয় করার উপায়:
ভেবে দেখুন তো, কোনো ব্যবসায় কি ১-২ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে লাখ টাকা প্রফিট করা কি সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। কীভাবে? উত্তর হলো এই ডোমেইন ও ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং করে। ডোমেইন ও ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং এ স্কিল, ধৈর্য, পরিশ্রম এসব পাশাপাশি কিছুটা ভাগ্যও লাগে। সব খাপে খাপে মিলে, এক চালেই বাজিমাত হতে পারে। মাত্র একটা ডোমেইন কিংবা ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি হয়ে যেতে পারেন মিলিয়োনিয়ার! কীভাবে সেটা জানা যাক।
সাধারণত কোনো ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি থেকে একটা ডোমেইন কিনতে বা রেজিস্ট্রার করতে এখন মাত্র ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগে। কিন্তু ওই ডোমেইনটা যদি আপনি রিসার্চ করে, ব্র্যান্ডেবল, এসইও ফ্রেন্ডলি এবং ইউনিক হিসেবে নিতে পারেন, সেই ডোমেইনটার মার্কেট ভ্যালু কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। সহজ ভাষায় এটাই হলো ডোমেইন ফ্লিপ্পিং! মানে আপনি ৩০০-১৫০০ টাকা দামে একটা ডোমেইন কিনবেন রিসার্চ করে, সেটা অন্য কারও কাছে অনেক বেশি দামে সেল করে দেবেন। [কীভাবে ডোমেইন রিসার্চ করে একটা পারফেক্ট ডোমেইন পিক করতে হয় সেটা জানতে এই ভিডিয়োটি দেখতে পারেন: #কীভাবে রিসার্চ করে পারফেক্ট ডোমেইন কিনবেন?]
ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিংটাও প্রায় সেম। আপনার কেনা ডোমেইনটা দিয়ে একটা সাইট বানিয়ে ফেলবেন, তারপর সেটাতে এসইও করে কিছু ট্রাফিক আনা শুরু করবেন। সাইটকে গুগল অ্যাডসেন্স বা অ্যামাজন অ্যাসোশিয়েট দিয়ে মনিটাইজ করে নিলে আরও ব্যাটার [তখন দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়।]। এগুলো করার পর ব্যস, সাইটকে হিউজ দামে সেল করে দেবেন।
এবার প্রশ্ন হলো: ডোমেইন ও ওয়েবসাইট কত দামে সেল হয়?
একটা ডোমেইন নেম যে মিলিয়ন ডলারে সেল হয়েছে এমন অসংখ্য কেস আছে। ফেসবুক চিনেন না এমন কেউ আশা করি নেই। ২০১০ সালে ফেসবুক fb.com এই ডোমেইনটি কিনে নিয়েছিল ৮.৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ৮৫ লাখ ডলার দিয়ে। অ্যামাউন্টটাকে টাকায় হিসেব করে দেখতে পারেন। এরপর মোবাইল ফোন কোম্পানি শাওমিকেও অনেকেই চেনেন। অনেকে শাওমি ফোনও ইউজ করেন। শাওমির mi.com নামে বর্তমানে যে অফিশিয়াল ডোমেইন রয়েছে, সেটি ক্রয় করা হয়েছিল ২০১৪ সালে এবং ডোমেইনটার দাম পড়েছিল ৩.৬ মিলিয়ন বা ৩৬ লক্ষ ডলার! এই পর্যন্ত কেনা-বেচা হওয়া সবচেয়ে দামি ২৫ টা ডোমেইন নেম ও সেগুলো প্রাইস দেখে নিন:
- CarInsurance.com — $49.7 million
- Insurance.com — $35.6 million
- VacationRentals.com — $35 million
- PrivateJet.com — $30.18 million
- Voice.com — $30 million
- Internet.com — $18 million
- 360.com — $17 million
- Insure.com — $16 million
- Fund.com — £9.99 million
- Sex.com — $14 million*
- Sex.com — $13 million
- Hotels.com — $11 million
- Porn.com — $9.5 million
- Shoes.com — $9 million
- Porno.com — $8.8 million
- Fb.com — $8.5 million
- We.com — $8 million
- Business.com — $7.5 million
- Diamond.com — $7.5 million
- Beer.com — $7 million
- Z.com — $6.8 million
- iCloud.com — $6 million
- Israel.com — $5.8 million
- Casino.com — $5.5 million
- Slots.com — $5.5 million
#আরও দেখুন: List Of Most Expensive Domain Names [Wiki]
ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং এর কথা আসলে চোখে দেখা কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যায়, পাকিস্তানি এক কলেজ পড়ুয়া ছেলে ২০১৮ সালে 10beasts নামের একটা অ্যাফিলিয়েট সাইট সেল করেছিল ৫০০ হাজার ডলারে, অর্থাৎ হাফ মিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশি অনেক কেসও আছে কয়েক হাজার ডলারে সেলের। সবচেয়ে বেশি ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং হয় অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট দিয়ে মনিটাইজ করা, রেভেনিউ জেনেরেট করছে এমন ওয়েবসাইটগুলো।
শেষ করব ডোমেইন ও ওয়েবসাইট ফ্লিপ্পিং এর জন্য কয়েকটা মার্কেটপ্লেসের লিংক দিয়ে: